সেমিফাইনালে খেলতেই হবে- এমন চাপ নিয়ে টাইগাররা রাতের ঘুম হারাম করছে না বলে জানিয়েছেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি বলেছেন, কঠিন গ্রুপে পড়েও সুপার এইটে আসতে পেরে আমরা খুশি।
খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি চাপ না দিয়ে বরং স্বাধীনভাবে খেলতে দিতে চান তিনি। বলেছেন, এই পর্যায়ে এসে এখন যেটুকু অর্জন করতে পারি, সেটাই আমাদের জন্য বোনাস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মতো দলের সঙ্গে এক গ্রুপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সঙ্গে আরও ছিল সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে আলো ছড়ানো এশিয়ার রাইজিং স্টার নেপাল এবং ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে টক্কর দেওয়া নেদারল্যান্ডস। এমন প্রতিযোগিতার মাঝেও দ্বিতীয় সেরা দল হওয়ায় শিষ্যদের তারিফ করতে ভুললেন না তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অভিজ্ঞ এই কোচ বলেন, ‘সুপার এইটে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই আমরা (বিশ্বকাপে) খেলতে এসেছিলাম। সেই লক্ষ্য আমরা দারুণভাবে অর্জন করেছি। বোলাররাই আমাদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে।’
‘আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি এবং কন্ডিশনের সদ্ব্যবহারও করেছি ঠিকঠাক।’
আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
সুপার এইটে প্রতিপক্ষ স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলক শক্তিশালী। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি আছে এশিয়ার আরেক দল আফগানিস্তানও। টি-টোয়েন্টিতে তারা সবাই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। তাই দলকে প্রত্যাশার চাপ না দিয়ে নির্ভার রাখতে চান কোচ হাথুরুসিংহে।
‘এখানে আসতে পেরেছি, এতেই আমরা খুশি। এখন যতটা পারি এগিয়ে যেতে হবে। এখান থেকে যতটুকু পাব, তা-ই আমাদের জন্য বোনাস। তাই আমরা এখন অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব এবং তিনটি দলকেই যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ জানাব।’
তবে পরক্ষণেই স্বাধীনতার বিষয়টি খোলাসা করেন তিনি, ‘স্বাধীনতা নিয়ে খেলার মানে এই নয় যে, খেলোয়াড়রা দলে নিজেদের ভূমিকা থেকে, দায়িত্ব থেকে সরে যাবে।’
‘তবে আমরা খেলি তো মূলত খেলাটাকে উপভোগ করার জন্য, তাই না? ছেলেদের কাছ থেকে এটি কেড়ে নিতে চাই না। তার মানে এই না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে; দলের প্রতি প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে।’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা স্বাধীনভাবে খেলে উপভোগ করবে, তা সে দেশ, ক্লাব বা পার্ক ক্রিকেট যেখানেই খেলুক। এজন্যই তো আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি। উপভোগের বিষয়টি সবসময়ই সামনে থাকবে। তবে সবারই দলের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাচ্ছে টাইগাররা
টাইগারদের দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সম্পর্কে ধারণা রয়েছে লঙ্কান এই কোচের। এ বিষয়টি শুক্রবার সকালের ম্যাচে কাজে লাগবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে উল্টো সায় দেন তিনি।
‘বছরখানেক আগে তাদের সঙ্গে ছিলাম আমি। তাদের অনেকের সম্পর্কেই জানি। তারা অসাধারণ খেলোয়াড় এবং নিজেদের খেলা নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমরা জানি, তবে সেসব কালকের খেলায় প্রভাব ফেলবে না বলে আমার মনে হয়।’
‘ম্যাচের দিনের কন্ডিশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই কন্ডিশনকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম