সাকিব ২৩ মার্চ রাত ২টায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন।
সাকিব সম্প্রতি ক্রিকফ্রেনজিতে একটি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে তিনি কখনই বিসিবিকে বলেননি যে তিনি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না। তবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন চেয়ারম্যান আকরাম খান বারবার বলেছেন যে সাকিব টেস্ট খেলতে নারাজ।
আরও পড়ুন: পুত্র সন্তানের বাবা হলেন সাকিব
‘আমি আমার চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করিনি যে আমি টেস্ট খেলতে অনিচ্ছুক। আমি বরং উল্লেখ করেছি যে আমি আইপিএল খেলতে চাই যাতে বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে আরও প্রস্তুত করতে পারি। তবে আকরাম ভাই বারবার বলেছেন যে টেস্ট ক্রিকেট এড়াতে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সাকিব দাবি করেছেন, বোর্ড জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে।
এই মন্তব্যটি বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
আকরাম ইতিমধ্যে বলেছেন, শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর ছেড়ে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সাকিবকে খেলার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বোর্ড পুনর্বিবেচনা করবে।
সাকিব কেন দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। বিসিবি থেকে কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
এর আগে সাকিব শ্রীলঙ্কা সফর এড়িয়ে আইপিএলের এবারের সিজন খেলতে বিসিবির কাছে ছুটি চেয়েছিলেন। বিসিবি তার অনুরোধ গ্রহণ করে এবং তাকে একটি এনওসি দেয়। তবে একই সাথে আকরাম ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন যে সাকিব টেস্ট ক্রিকেট খেলতে রাজি নন।
আইসিসি কর্তৃক এক বছরের দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পরে গত বছরের শেষদিকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞার পরে তার প্রথম ঘরোয়া খেলাটি ছিল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ যেখানে তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। শ্বশুর অসুস্থ থাকায় লিগের ফাইনালের ঠিক আগেই তাকে খেলা ছেড়ে যেতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে থাকছেন না তামিম
এই বছরের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়েছেন তিনি। তিনি চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টও খেলেছিলেন, তবে চোটের কারণে তাকে বাইরে বসে থাকতে হয়েছিল এবং একই কারণে ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টও মিস করেন তিনি। চলমান নিউজিল্যান্ড সিরিজে সাকিব বাংলাদেশ দলে নেই। তাকে পিতৃত্বকালীন ছুটি দিয়েছে বিসিবি।