অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কিশোর অটোচালক কায়েসকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, শনিবার রাতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নিহত কায়েসের অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছে- বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকার কাওছার, কামরুজ্জামান শ্যামল ও ফাহিম ওরফে জিকো।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাদের এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সেটি ভাড়া করে সাবদি এলাকায় যায়। সেখানে তারা মদপান করে পার্শ্ববর্তী নরপদি এলাকার গিয়ে চালক কায়েসের হাত-পা ও মুখ বেঁধে জবাই করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে দেয়। পরে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও একজন পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
এর আগে গত বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে কায়েস। ঘটনার চারদিন পর শনিবার দুপুরে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদি এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ কায়েসের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তার মা শারমিন বেগম অজ্ঞাতনামা তিন-চারজনকে আসামি করে ওইদিনই বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্লু লেস এই হত্যাকাণ্ডের তিনজনকে ১২ ঘন্টার মধ্যে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!