তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু মশা নিধনে মন্ত্রণালয় থেকে দুই সিটি করপোরেশনকে (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ) সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ায় এ মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এখন অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মশাগুলো খুব বিপদজনক নয়। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা সবাই মিলে এই সমস্যা থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:পানির জন্য দেশে এখন মিছিল-মিটিং হয় না: এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের 'অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র' (এসটিএস) এর শুভ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা শহরের খাল-নালা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারলে এসব মশা থেকে নগরবাসীকে অনেকাংশে মুক্তি দেয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার স্বপ্ন অনুযায়ী ঢাকা শহর গড়ে উঠবে: এলজিআরডি মন্ত্রী
এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে সিটি করপোরেশনের অধীন নন্দীপাড়া ব্রিজ (জিরানী খাল), সুখ নগর ব্রিজ (খিলগাঁও-বাসাবো খাল, জিরানী খাল, মান্ডা খাল ও সেগুনবাগিচা খালের সংযোগস্থল), পাম্প স্টেশন, কমলাপুর (টিটিপাড়া) বহি:গমন বিশ্বরোড কমলাপুর খাল, শ্যামপুর খাল এবং পান্থকুঞ্জ পার্ক বক্স কালভার্ট পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
রাজধানীর খালগুলোর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি খালের দুই পাশ অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত সকল ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে, বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একাজ সম্পন্ন করা হবে।’
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুই দেশের সকল উন্নয়ন চিন্তা-চেতনার ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন: এলজিআরডি মন্ত্রী
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে খাল হস্তান্তরের পর থেকেই ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র খালসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় যারা এসব খাল দখল করে দুই পাশে ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন সেগুলো অপসারণ করছেন।
মন্ত্রী জানান, নগরীর সকল খাল রক্ষণাবেক্ষণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই মেয়রকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে অনেকগুলো সভা করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সবাইকে সাথে নিয়ে যেভাবে কাজ করছে তাতে করে এবছর নগরীতে জলাবদ্ধতা ঘটবে না।
এসময়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।