যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি সমন্বিত সুযোগ-সুবিধা। আগের আমলের ব্যবস্থাপনাতেই চলছে সব কার্যক্রম। এতে বাড়ছে ভ্রমণকারীদের দুর্ভোগ।
একরকম বেহালদশার মধ্যেই ইমিগ্রেশনকারীরা প্রতিনিয়ত যত্রতত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ সারছেন।
কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে এবং সমন্বিত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একই ছাতার নিচে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নেয়া হয়েছে প্রকল্প।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে চালুর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরটি পূর্বাঞ্চলের দেশের ২য় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার বেড়েছে কয়েকগুণ। কিন্তু যাত্রী পারাপার বাড়লেও সেবার মান রয়ে গেছে আগের মতোই।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, একটি কক্ষেই দুদেশের ইমিগ্রেশন ও ট্যাক্স কার্যক্রম চলছে। যাত্রীদের বসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ফ্যান, বিদ্যুৎ, শৌচাগারের সমস্যাও প্রকট। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাইরে যত্রতত্র বসে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। সেবাখাতগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তিও বাড়ছে।
এছাড়া বন্দর ঘেঁষে ভারত থেকে নেমে আসা বিষাক্ত কালো পানির দুর্গন্ধ যাত্রী দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অবস্থার পরিত্রাণ পেতে চান তারা।
তাদের দাবি, একই ভবনে সমন্বিত সেবা পেলে ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি কমবে।
ভারতে ভ্রমণকারী বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, ইমিগ্রেশনে কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। যে পরিমাণ যাত্রীর চাপ রয়েছে সে তুলনায় এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্তরা সেবা দিতে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ করার জন্য সুবিধাজনক কোনো জায়গা নেই। সব মিলিয়ে হ জ ব র ল অবস্থা বিরাজ করছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, যাত্রীরা যাতে সহজভাবে ইমিগ্রেশন করতে পারে সে জন্য ইমিগ্রেশন আধুনিকায়ন করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান জানান, একত্রিত সুবিধার অভাব থাকলেও আমরা ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর কথা ভাবছি।