জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র আসবে। মানসম্পন্ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের সাথে সাথে দেশের অবকাঠামোগত দৃশ্য আরও অন্যরকম হবে।’
এর আগে ডিক্যাব সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টির সভাপতিত্বে ডিক্যাব টকে তাকে স্বাগত জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেখতে চায় জাপান: রাষ্ট্রদূত নাওকি
জাপানি কোম্পানিগুলো কেন বাংলাদেশকে ‘অর্থনীতি ও বিনিয়োগের নতুন প্রান্ত’ হিসেবে দেখছে তার চারটি সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, বাংলাদেশের ‘ভৌগোলিক অবস্থান’ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এ কৌশলগত অবস্থান এশিয়া ও এর বাইরেও বাজার ও সরবরাহ ব্যবস্থা সংহত করতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে কোভিড-১৯ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে এখানে তৈরি পোশাকের মতো মূল শিল্প রয়েছে।
বাংলাদেশের উন্নতমানের অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলো যেমন ঢাকা মেট্রোরেল, আধুনিক বিমানবন্দর, মহেশখালী-মাতারবাড়ি প্রকল্প, পদ্মা সেতু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো বাংলাদেশকে পরিবর্তন করবে।
‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ মানের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো দেখুন,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:করোনার বিরুদ্ধে লড়তে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে জাপান
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে তুরস্ককে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আগামী বছর ঢাকা মেট্রোরেল আংশিকভাবে চালু হবে।
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাপান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তিনি গর্ববোধ করেন বলে জানান।
তিনি বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীরা মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অধীনে মানসম্মত অবকাঠামোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত এবং দুদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিষয়ে একটি যৌথ গবেষণা শুরু করা দরকার।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইতো নাওকি বলেন, আগামী বছর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেখতে চায় জাপান।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করবে জাপান
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে জাপান
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রত্যাবাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা এবং সরকারি পর্যায়ে সরাসরি যোগাযোগ করছেন।