রাজধানীতে অফিসগামীরা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী প্রভাবের কারণে দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে আবদুল্লাহপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা যায় এবং টঙ্গীতে চলমান বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
বিআরটি প্রকল্প এলাকার কারণে আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে যানবাহন খুব ধীরগতিতে চলাচল করায় হোটেল লে মেরিডিয়ান থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত দীর্ঘ বাস, ব্যক্তিগত যানবাহনের সারির কারণে আটকা পড়তে হয় নগরবাসীদের।
এদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদর দপ্তরের সামনের সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে ফ্লাইওভার দিয়ে খিলক্ষেত এলাকা থেকে বনানীগামী মানুষদের আরেকটি যানজটে পড়তে হচ্ছে।
অন্যদিকে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে নেমে রেডিসন ব্লু হোটেলের দিকে যেতেও জলাবদ্ধতা দেখা গেছে এবং ফ্লাইওভার থেকে বনানীর দিকে আরেকটি যানজট পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) আবু রায়হান মো. সালেহ ইউএনবিকে বলেন, গতকালের অবিরাম বৃষ্টির কারণে নৌবাহিনী সদর দপ্তরের সামনের সড়কসহ বেশ কয়েকটি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। তবে মিরপুর এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক।’
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকটে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করলেও বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, সিত্রাং খুব দ্রুত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় ও বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে এবং বর্তমানে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।
সিত্রাং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত করা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে উপড়ে যাওয়া গাছ ও এর ডালপালার আঘাতে মানুষ মারা যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে শহর এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।
এদিকে, রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত। যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে দায়ী করেছে।