যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে উজবেক সরকারের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশিদ খোদজায়েভে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এলে তিনি এ কথা বলেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। সেই সম্পর্ক এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং এর জন্য জনগণ ভোগান্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।
উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই।’
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভালো কেন্দ্র কারণ, এখানে ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: ঢাকা-তাসখন্দ রুটে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ওষুধ ও আইসিটি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সফররত উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপনেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে দ্বৈত কর পরিহারের বিষয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
এ সময় উজবেকের বিনিয়োগ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী লাজিজ কুদ্রাতভ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন বিষয়ক উপমন্ত্রী জাসুরবেক চোরিয়েভ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।