শিক্ষাকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছি।আর এই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ এবং একুশ শতকের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বলতেন তাই করতেন, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও যা বলেন তাই করেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গঠন করবেন বলেছিলেন এবং তিনি তা করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে আমরা তার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে তার নেতৃত্বে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবো।
আরও পড়ুন: আ.লীগের নেতৃত্বে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের আশা দীপু মনির
তিনি আরও বলেন, আমরা একটি সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ আমাদের সামনে ২০৩০ এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে যা আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। এই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার ৪ নম্বরে অর্থাৎ কেন্দ্রে অবস্থান করছে শিক্ষা।
মন্ত্রী আরও বলেন, সেই শিক্ষায় যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি, শিক্ষাকে যদি আমরা জীবনব্যাপী করতে পারি এবং সেই শিক্ষা যদি হয় অন্তর্ভুক্তিমূলক, তাহলে তাহলে বাকি যে ১৬টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা আমরা সহজেই অর্জন করতে পারবো।
শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ, বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর।
এছাড়া এই স্বল্প সময়ে জাতির পিতা বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে সফল ভাবে অবদান রেখেছেন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের সূত্রপাতও হয়েছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, পিইঞ্জ, বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন শুরু করেছেন গ্রাম থেকে। একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাড়া বিশ্বের অন্য কোন নেতা এখনো বুঝতে পারেননি যে, উন্নয়ন গ্রাম থেকে শুরু করতে হয়।
তিনি বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, ১০০ টির বেশি হাইটেক পার্ক স্থাপন করেছেন এবং দেশের প্রত্যেকটি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।
যার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন নাগরিকও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনির সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ থেকে ২০২২ সালে মাত্র এক বছরে গ্লোবাল নলেজ ইন্ডাস্ট্রিতে ১৪ ধাপ এগিয়েছে।আমি মনে করি এটি আমরাদের জন্য একটি যুগান্তকারী অর্জন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
অনুষ্ঠানে নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উদয়ন স্কুল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপহার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি