শুক্রবার এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন ও জীবিকার বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। বাজেটের ঘাটতি কোনো সমস্যা নয় কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রচুর ব্যয় হবে এবং আমাদের আরও ব্যয় করা উচিত। তবে এনবিআরের রাজস্ব আদায় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
ড. ফাহমিদা বলেন, ‘এ বাজেট করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত নয়, এটি প্রচলিত বাজেট।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সিপিডি জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ‘দুর্বল কাঠামো’ নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে কারণ বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ বাজেটে উল্লেখিত সম্পদ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
আসন্ন অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে এনবিআরের সংগ্রহ করতে হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর-বহির্ভূত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং কর-বহির্ভূত খাত থেকে অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া বৈদেশিক অনুদান হিসেবে আসবে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা।