করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রসূতি মায়েদের টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো এসএমএস লাগবে না। নিবন্ধনের পর সুবিধাজনক যেকোনো সময়ই টিকাকেন্দ্রে গিয়ে তারা টিকা নিতে পারবেন।
রবিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘গর্ভবতী মায়েদের টিকাগ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের যে আগের নিয়ম ছিল সিটি কিছুটা পরিবর্তন করে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন থেকে টিকার নিবন্ধনের পরই একজন গর্ভবতী নারী এসএমএস না পেলেও সে তার পছন্দমতো সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।’
শামসুল হক বলেন, গর্ভবতী মায়েরা টিকা গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ কার্ড নিয়ে যেতে হবে। এমনকি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে সম্মতি পত্রের স্বাক্ষর করে তিনি টিকা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এক্ষেত্রে যে যেই কেন্দ্রে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন, তাকে সেই কেন্দ্র গিয়েই দ্বিতীয় দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সকলকে টিকা কার্ড নিয়ে আসতে হবে। ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জেলাগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা আশা করি আজ-কালকের মধ্যেই সকল জায়গায় আমাদের টিকা পৌঁছে যাবে।'
আরও পড়ুন: করোনা ও উপসর্গ: বরিশালে দুই হাসপাতালে ৪ মৃত্যু
শামসুল হক বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা ক্যাম্পেইনেরসময়ে আমাদের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচীও চলবে। নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোতে প্রথম এবং দ্বিতীয় টিকা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দেবেন।
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, ‘বিগত সময়ে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনে একদিনে আমরা ৩০ লক্ষাধিক মানুষকে টিকা দিয়েছি। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ। পূর্বের তুলনায় দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রেও আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবো। তবে এক্ষেত্রে যারা টিকা নিতে আসবেন, তারা সবাই যদি সুশৃঙ্খলভাবে টিকা নিতে আসে, তাহলে কোন ধরণের সমস্যা হবে না।’
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত টিকার বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আঠার ঊর্ধ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ছাত্রছাত্রী আছে, তাদেরকে টিকার আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে রামেকে ১০ মৃত্যু
করোনা: বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ কোটি ছাড়াল
১৮ বছরের নিচে টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে শামসুল হক বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের এটি জানা নেই। তবে এটা নিয়ে সরকার যেহেতু চিন্তা করছে, ভবিষ্যতে যদি কোন পরিকল্পনা আসে সেটা আপনাদেরকে জানাতে পারবো। ১২ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেয়ার বিষয়টি জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, এর আগে ইউজিসির মাধ্যমে তালিকা নিয়ে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, তাদের অনেকেই তখন টিকা নিয়েছেন। তারপরও যারা বাকি রয়েছেন, সেসব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, যাদের এনআইডি নেই তাদেরকে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে যেন তারা টিকা নিতে পারেন, সেলক্ষ্যে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে নতুন আরেকটি উইন্ডো খোলার চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রেও প্রত্যেকের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধীনস্থ কলেজ গুলো থেকে একটি তালিকা আমাদের কাছে আসতে হবে। এরপর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সেগুলোকে সুরক্ষা সার্ভারে যুক্ত করা হবে।