ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ভূক্ত দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে বাংলাদেশ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেন পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নকে তরান্বিত করা সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্য হয়ে মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। করোনাকালে ওআইসিভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আরো বৃদ্ধির আহবান জানান তিনি।
বুধবার ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ‘বেস্ট প্রাক্টিস ফর বিল্ডিং সাসটেইনেবল ফুড সিস্টেমস ইন দ্য ওআইসি রিজিয়ন’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অর্জনসমূহ মাইলফলক। ১৯৭১ সালের তুলনায় দেশে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ । বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার ২০১৬ থেকে ২০২০ মেয়াদে দ্বিতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ কালেও বাংলাদেশে খাদ্যাভাব হয়নি বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে গাম্বিয়া রিপাবলিকের কৃষিমন্ত্রী অ্যামিই ফ্যাবুরেহ, গায়ানার কৃষি ও সমবায়মন্ত্রী মুস্তাফা জুলফিকার,তাজিকিস্থানের কৃষিমন্ত্রী জিওজোডা সুলায়মন রিজই, মিশরের কৃষি ও ভূমি পুনরুদ্ধারমন্ত্রী মারজুক আল কাওসার, বেনিনের কৃষি, প্রাণি ও মৎস্য বিষয়কমন্ত্রী গাস্টন কোসি ডোসুহই, ওআইসির খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক মহাপরিচালক আর্লান এ বাইদুলেত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের খাদ্য ও পানি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, মারিয়ম আল মেহিরি, আন্তর্জাতিক ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর অর্থনীতি বিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ড. আহমাদ কাবেসা সেনজেনডো এবং জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের ২০২১ ফুড সিস্টেম সামিট এর বিশেষ প্রতিনিধি ড. এগনেস কালিবাটা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কর্মহীনদের মাঝে আ’লীগের খাদ্য বিতরণ
অনুষ্ঠানে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সম্মেলনটি খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য সরবরাহ চেইন পরিচালন, কৃষির বিকাশ এবং জাতীয় খাদ্য সিস্টেমের সংলাপের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেওয়ার পাশাপাশি ওআইসি সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রগুলোতে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করার শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
আন্তর্জাতিক এই কনফারেন্সে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম অধিবেশন ‘খাদ্য সুরক্ষা প্রশাসন: বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’ উপস্থাপন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শহিদুজ্জামান ফারুকী। দ্বিতীয় অধিবেশনে "জাতীয় খাদ্য ব্যবস্থা সংলাপ: বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আবদুল হান্নান। অনুষ্ঠানে ওআইসি সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা, কৃষি ও খাদ্য গবেষক এবং কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া যাবে আগের চেয়ে কম দামে