পাহাড় কাটা বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়ায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্ট ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
যাদের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়েছে তারা হলেন-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবদুল হামিদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভিসি) মো. মামুনুর রশিদ, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন সজিব, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া, উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পরিবেশ বিভাগের কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল আশরাফ।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ও অ্যাডভোকেট রিপন বারৈ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, পাহাড় সংরক্ষণ, পাহাড় কাটা বন্ধ ও পরিবেশ রক্ষায় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই হাইকোর্ট এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। ওই রায়ে কক্সবাজার জেলায় পাহাড় কাটার কার্যক্রম বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন আদালত। কিন্তু কক্সবাজারের উখিয়া ও সদর উপজেলায় পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন। এছাড়া ২০১২ সালে ১৯ জুলাই এইচআরপিবি বনাম বাংলাদেশ সরকার মামলায় হাইকোর্টের রায়ের আলোকে এই রুল দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট