ভ্যাকসিনের পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দুটি মুখে খাওয়ার ওষুধ দেশে বাজারজাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। ওষুধ দুটির নাম নিরম্যাট্রেলভির ও রিটোনাভির।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ হিজুলী ডায়াবেটিক হাসপাতালে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ওষুধগুলোর প্রতি ডোজের দাম হবে তিন হাজার টাকা। মোট পাঁচদিন এই ওষুধ খেতে হবে। মোট ৩০টি ট্যাবলেটের দাম হবে ১৬ হাজার টাকা। ওষুধের বাজারজাত করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা করোনার ভ্যাকসিন দিচ্ছি, বুস্টার ডোজও দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে এখন আবার সংক্রমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই আমাদের সর্তক থাকতে হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ লকডাউন দিচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ৩১ কোটি ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে নিজেদের কেনা টিকাও আছে। এরমধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে এসেছে। সাত কোটি ভ্যাসকিনের প্রথম ডোজ ও পাঁচ কোটি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যটন স্পটে মাস্ক না পরায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আমরা জানুয়ারি মাস থেকে নতুন উদ্যোগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। আমাদের দেশে ১৫ হাজার ওয়ার্ডে ২৮ হাজার বুথে ২০২২ সাল থেকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। যাতে আমরা চার কোটি ভ্যাকসিন দিতে পারব। আমাদের ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই। সংক্রমন ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী ওষুধ আমাদের দেশে বাজারজাত করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১২ বছরে উর্দ্ধে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ওষুধ সেবন করতে পারবেন। এটা আমাদের দেশের জন্য করোনা চিকিৎসার মাইল ফলক স্বরূপ। এই ওষুধের কার্যকরিতা শতকরা ৮৮ ভাগ বলে জানা গেছে। করোনার জন্য বিশ্বের যে কোনো দেশে নতুন ওষুধ বের হলে, আমরা দ্রুত তা মানুষের জন্য দেশে নিয়ে আসি।
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, পৌর মেয়র রমজান আলী, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহা, ডায়াবেটিক সমিতির সহসভপতি নীনা রহমান প্রমুখ।
বার্ষিক সাধারণ সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ এবং আজীবন সদস্যদের জন্য ২০ ভাগ ছাড় দেয়ার প্রস্তাব পাস হয়।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ সহায়ক হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী