এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাংবাদিকতা ছাড়াও আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে কামাল লোহানী বড় অবদান রেখেছেন।’
তিনি আরও বলেন, দেশ একজন মহান সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে। তার মৃত্যু দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
রাষ্ট্রপতি বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শেখ রাসেল গেস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মারা যান প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির সমস্যার পাশাপাশি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
কামাল লোহানী ২০১৫ সালে একুশে পদক পান এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
কিংবদন্তি সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, ভারত ভাগ এবং ভাষা আন্দোলনের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে বেড়ে উঠেন।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বার্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাতে সাংবাদিক হিসাবে প্রথম চাকরি শুরু করেন লোহানী। তিনি ১৯৬২ সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়নটে সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন।
সাংবাদিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।