নানা অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লায় গত এক সপ্তাহে ৪৮টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
তিনি জানান, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সংশোধনের সময় দেয়া হলেও তারা সময় মত তাদের অনিয়ম সংশোধন করতে পারেনি বলে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে আটটি হাসপাতাল এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় যে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এর মধ্যে লাকসামে ৯টি, চান্দিনাতে চারটি, নাঙ্গলকোটে তিনটি, বুড়িচংয়ে দুটি, হোমনাতে দুটি, মনোহরগঞ্জে দুটি, দাউদকান্দিতে আটটি, সদর একটি, বড়ুরাতে তিনটি, মেঘনাতে দুটি, দেবিদ্বারে দুটি, লালমাইতে দুটি ও চৌদ্দগ্রামে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেছেন, এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। আমরা লাইসেন্স নিয়ে যেমন কাজ করছি, তেমনি প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ডাক্তার এবং নার্সসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও শর্ত মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা হবে, আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম চালু রাখবো।
বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে তাদের লাইসেন্স স্বয়ংসম্পূর্ণ না। কেউ কেউ লাইসেন্সের আবেদনই করেন নি। কেউ আবার অনলাইনে আবেদন করেই তাদের কাজ শেষ বলে মনে করছেন।
অবহেলা করে জানতেও চাইছেন না কেন তাদের অনুমোদন দিচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
অপর দিকে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকগুলো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সের শর্ত মানছেন না। সেবা দিচ্ছেন অপর্যাপ্ত এবং অদক্ষ জনবল দিয়ে। কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অপরিচ্ছন্নতা ও রোগীর প্রতি অবহেলার চিত্র প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় এবং অদক্ষদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর প্রমাণও মিলেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির