কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হত্যা মামলায় আট জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর সোমবার দুপুরে মামলার রায় দেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কাচকোল এলাকার ঘেতু শেখের ছেলে রাশেদ (৪০), মকবুল হোসেন (৫৪) ও তসলিম উদ্দিন (৫৬), দারাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৩), মতিয়ার রহমানের ছেলে মিন্টু (৪১), মনির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৪), সেকেন্দার আলীর ছেলে মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ (৪৪) এবং ওসমান মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া (৫০)। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আট আসামিকে রায় শেষে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট সামসুদ্দোহা রুবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার কাচকোল বাজারে শিক্ষক মোখলেসুর রহমানের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী নুরনবীকে (২২) তার দোকানে আসামিরা গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে। এর আগে শ্যালো মেশিনে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আসামিদের সঙ্গে নিহত নুরনবীর বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দিলেও আসামিরা তাতে সন্তষ্ট ছিল না। এরই জেরে আসামি রাশেদ নুরনবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তারই দোকানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়টি মামলার রায়ে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
নিহতের বাবা মোখলেসুর রহমান ৯ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ২৩ জানুয়ারি চিলমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আট আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এতে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। আদালত যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাতে এমন অন্যায় কাজ করতে মানুষ দ্বিতীয়বার ভাববে।