রাজশাহী মহানগরীতে শিক্ষিকা স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ ফাতেমা খাতুন (৩৭) মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। স্বামীর নাম সাদিকুল ইসলাম।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফাতেমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতের ছোট বোন নূরজাহান খাতুন জানান, রাতে কিছু বোঝার আগেই তার বোনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সাদিকুল ইসলাম। আগুনে তার মুখ, বুক ও দুই হাত পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রামগড়ে কেরোসিন ঢেলে বৃদ্ধকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ১
নূর জাহান জানান, বিয়ের পর থেকেই গত ২০ বছর ধরে বোনকে নির্যাতন করে আসছিলো সাদিকুল। পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে বিষয়টি এতদিন ধরে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছিল। এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন বলেন, ‘ফাতেমার শরীরের ২৫ শতাংশ ‘মিক্সড বার্ন’ হয়েছে। এর মানে, কোনো স্থানে গভীর ক্ষত হয়েছে আবার কোনো স্থানের শুধু চামড়া পুড়েছে। তাঁর মুখমণ্ডল, হাত, বুক পুড়ে যাওয়া ছাড়াও শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।’
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, ঘটনা তিনি শুনেছেন। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে একজনের আত্মহত্যা