তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের এখানে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সমস্ত কিছুর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব দেখান। যদিও সাধারণ মানুষ তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পান না, তারা যেকোনো কাজ নিয়ে বিরূপভাবে সমালোচনা করেন এবং এ নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ, ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করেন। এটি তাদের অভ্যাস।’
দেশে করোনাভাইরাস মহামারির ইতি টানার লক্ষ্যে নগরীর একটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
সমালোচকদের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা সবকিছুতে অস্বস্তি বোধ করা রোগে ভুগছেন।
করোনার অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
তারা (সমালোচনাকারীরা) সবকিছুতে ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না এই রোগের চিকিৎসা কী এবং এর জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায় কিনা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন আসবে কি আসবে না, দাম কেমন হবে, এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া কী হবে ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা (সমালোচকরা) অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি চান যে সমালোচকরাও এই ভ্যাকসিন গ্রহণে সাহসী হবেন।
স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল, আজ তারাই ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী
‘যদি তারা আসেন, আমরা তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ করব যাতে তারা সুরক্ষিত থাকেন। তাদের যদি কিছু হয়, তবে কে আমাদের সমালোচনা করবে। সমালোচকও থাকা দরকার, যাতে আমরা আমাদের ত্রুটিগুলো জানতে পারি,’ বলেন তিনি।
সমালোচকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যত সমালোচনা করেছেন, আমরা ততই কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।’
নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন কারণ বিশ্বের অনেক দেশের আগেই আমরা কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে সক্ষম হয়েছি।
‘আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ, বিশ্বের অনেক দেশ এখনও কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের মতো জনবহুল দেশ এটি করতে সক্ষম হয়েছে। আজ প্রমাণিত হয়েছে যে আমরা জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করি,’ বলেন তিনি।
ধর্মের নামে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
এ টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।