বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে হত্যা করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার বিদেশ যেতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলছেন আমাদের নেত্রীর বিদেশে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন এবং প্রকৃত ঘটনাও তাই। কিন্তু এই সরকার তাঁকে এ সুযোগ দেবে না কারণ তাদের লক্ষ্য হলো তাঁকে ধীরে ধীরে হত্যা করা।’
সরকার খালেদাকে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে কারাগারে রেখেছে এবং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন এই বিএনপি নেতা।
গত মঙ্গলবার জ্বর ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বাংলাদেশে খালেদার চিকিৎসা করানো সম্ভব না।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এখনও জ্বরে ভুগছেন
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ তার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকার তার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়া হবে না। তাকে বাড়িতে থাকতে হবে এবং সেখানে চিকিৎসা নিতে হবে। একই শর্তে তাকে আগে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
তার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে দু’বার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে, একজন দণ্ডিত ব্যক্তির এমন সুবিধা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এ সময় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন গর্হিত মন্তব্য করায় সরকার দলীয় নেতাদের সমালোচনা করেন বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আব্বাস। জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের রাস্তায় নেমে আসারও আহ্বান জানান তিনি।