কুষ্টিয়ার খোকসায় ডাকাতির সময় গলায় তার পেঁচিয়ে এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বি-মির্জাপুর গ্রামের শহিদুজ্জামানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে তালাবদ্ধ ঘর খুলে এক ডাকাতকে পাওয়া যায়।
নিহতের নাম মনোয়ারা বেগম।
আটক জিহাদ ওই গ্রামের হেলাল শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুই মামলা, গ্রেপ্তার ১০
জানা গেছে, ডাকাতরা বৃহস্পতিবার বিকালে শহিদুজ্জামানের বাড়িতে হানা দেয়। এসময় গৃহকত্রী মনোয়ারা বেগম তাদের চিনে ফেলেন। একপর্যায়ে ডাকাতেরা মনোয়ারা বেগমের গলায় বিদ্যুতের মোটা তার ও ওড়না পেঁচিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ সময় মনোয়ারা সংজ্ঞাহীন ছিলেন। পরে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃদ্ধার মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পরিবারের লোকেরা লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এ সময় গৃহকত্রীকে যে ঘর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সেই ঘরের তালা খুলে প্রতিবেশী জিহাদকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নিহতের ছেলে বাসারুজ্জামান বলেন, তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। ফোনে মায়ের অসুস্থতার কথা জেনে হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে মাকে মৃত পেয়েছেন। তবে বাড়ি ফিরে অনুমান করছেন, ডাকাতেরা তার পাঁচ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ডাকাতেরা সংখ্যায় কয়েকজন ছিল। তাদের দুইজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আর ঘরে আটকা পড়ে প্রতিবেশীর ছেলে জিহাদ।
খোকসা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান টিপু ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার ভাবি মনোয়ারার গলায় বিদ্যুতের তার ও ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পান। ঘরে তালা দিয়ে বৃদ্ধাকে (ভাবিকে) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে বন্ধ ঘরের তালা খুলে জিহাদকে পান।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডটি রহস্যজনক। আটক যুবকের দাবি, সে প্রতিবেশীর মৃত্যুর খবর শুনে গিয়েছিল।
আবার পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে জানায়, বৃদ্ধা বিদ্যুতায়িত হন। এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১