গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকলে বিএনপি স্থানীয় সরকারসহ সকল নির্বাচনে অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম।
শনিবার কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ৫৪তম বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার প্রতি যে রাজনৈতিক দলের বিশ্বাস ও অঙ্গীকার রয়েছে, সেই দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কোনো সুযোগ নেই। আর যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, স্বৈরতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করে তারা নির্বাচনে অংশ না নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করবে এটায় স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: বিএনপির নির্যাতনের কাহিনী আরব্য রজনীর মতো: কৃষিমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে মো: তাজুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের উচিত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো। বিএনপি তাদের দলের ভালো মন্দ বোঝে। আমি মনে করি, দেশ ও মানুষের স্বার্থে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ উচিত।
এর আগে সম্মেলনে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহকে শক্তিশালী এবং জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে জবাবদিহিতার আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। জনপ্রতিনিধিদের অবজ্ঞা করার কোন সুযোগ নেই। কারণ বিপদে-আপদে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায় এই জনপ্রতিনিধিরাই।
শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি জানান, পদ্মা সেতুসহ সকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশে অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন তা অর্জন করা সম্ভব হবে। এজন্য সব শ্রেণী পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয় একত্রে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ভুলে যাওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
মো: তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের কর্মকান্ড শুধু মিটিং আর কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। নাগরিক সেবা দ্রুত সময় পৌঁছে দিতে হবে। মানুষ আমাদের মিটিং আর ফাইল ওয়ার্কের দিকে তাকিয়ে থাকে না। তারা চায় সেবা। আর এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
বার্ডকে একটি সক্ষম প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই প্রতিষ্ঠানকে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রসারে ভূমিকা রাখতে হবে। যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হোক না কেন সেটি অবশ্যই প্রডাক্টিভ হতে হবে এবং কোয়ালিটি বজায় রেখে সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।
অপরিকল্পিতভাবে আর যেখানে সেখানে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি জানান, নগরের ন্যায় পরিকল্পিতভাবে গ্রামগুলোও গড়ে তুলতে হবে। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিকে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত প্রকল্প উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে: এলজিআরডি মন্ত্রী
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো: মশিউর রহমান এনডিসি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসক মো: কামরুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার)।
নীতি নির্ধারণী পেপার উপস্থাপন করেন বোর্ডের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান। এছাড়া, সম্মেলনে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়,বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উচ্চ ও মধ্য পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।