গণপরিবহনে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী দুর্ভোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গণপরিবহনে প্রথম দিনে অনিয়ম, পুলিশের নজরদারি
বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনা সংকটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর জন্য বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও এখন দেশের অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সিটিং সার্ভিস ও শহরতলীর বাস, হিউম্যান হলার, অটো টেম্পুসমূহে বর্ধিত ভাড়া নিয়ে সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এতে কর্মজীবী, শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের সাধারণ লোকজন, কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গণপরিবহনে কথা না বলার পরামর্শ
এছাড়াও সকল অফিস আদালত খোলা থাকায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সিটিং সার্ভিসের বাসগুলো চলাচলের ফলে রাস্তায় প্রতিটি বাস স্টপেজে শত-শত যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করে গণপরিবহন পাচ্ছে না। এতে নারী, শিশু, অসুস্থ রোগী ও অফিসগামী যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ছে। হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া বাড়তি ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে প্রতিটি রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে যাত্রী-শ্রমিক বচসা, হাতাহাতি, মারামারি চলছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনের শৃঙ্খলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে পাইলট রুটের পরিধি
বিবৃতিতে তিনি দেশে লকডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করা হলে, যত সিট তত যাত্রী (বিআরটিএ নিবন্ধিত আসন অনুযায়ী) পদ্ধতিতে পূর্বের ভাড়ায় যাতায়াতের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক যাত্রী পরিবহন, একই সাথে গণপরিবহণের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে দেশের প্রতিটি রুটে বর্ধিত ভাড়া পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।