বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড মামলার রায়ের পেপার বুক (মামলার বৃত্তান্ত) তৈরির কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এটি ফাইনাল হয়ে যাবে।’
পেপার বুক তৈরিতে সময় লাগার কারণ সম্পর্কে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলায় মোট ২২৫ জনের সাক্ষী নেয়া হয়েছে। এজন্য পেপার বুকও অনেক বড় হবে। তাই একটু সময় লাগছে। পেপার বুক দ্রুত পেয়ে গেলে আমরা আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই এই মামলার আপিল শুনানি শুরু হবে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামাত জোটের শাসনামলে রাজধানী বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। অল্পের জন্য বেঁচে যান বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অধীনে একটি এবং হত্যার জন্য আরেকটি মামলা।
সব প্রক্রিয়া শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মামলার পলাতক আসামিদের সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সাজাপ্রাপ্ত সকল পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে কিছু জটিলতা রয়েছে। তবে এই রায় কার্যকর করার জন্য আসামিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, এই বিচার কাজ শেষ করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা আইন অনুযায়ী বিচার কাজ শেষ করবো।
এই মামলায় পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি আইনমন্ত্রী।