জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া স্মারক নম্বর বসিয়ে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার একটি বিল পাসের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত কার্যালয়ে এই অভিযোগ দেয়া হয়।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক, চট্টগ্রামের উপ পরিচালক নাজমুছ সাদাত বলেন, এক কর্মকর্তাকে নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দুদক কার্যালয়ে এসে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা অভিযোগটি গ্রহণ করেছি। এতে হাসপাতালের এক কর্মকর্তাসহ চার জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেন, অভিযোগটি আমরা ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। সেখান থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হবে সে অনুযায়ী কাজ করবো।
আরও পড়ুন: যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অভিযোগে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আটটি আইসিইউ বেড ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় অনিয়ম হয়। এ ঘটনায় দুদকের দায়ের করা একটি মামলা শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। ফলে মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিলও আটকে যায়।
গত ২৮ জুন, মঙ্গলবার ভুয়া স্মারক নম্বর তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে সবার অগোচরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে ওই বিল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ফোরকান। অর্থবছরের হিসাব গোছানোর সমাপনী দিনে ফোরকান বিলটি নিয়ে বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিসে গেলে জাল বিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এর আগে চলতি বছরের ১৭ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটিও চট্টগ্রামে আসে বিষয়টি তদন্তের জন্য।
অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একটি বিলের স্মারক নম্বর জেনারেল হাসপাতালের নামে আরেকটি বিলের কাগজে বসিয়ে জাল কাগজ তৈরি করে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিল ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
বিল জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, জুনের সমাপনী হিসাব নিয়ে কাজ করছিলাম। হাসপাতালের আইসিইউ স্থাপন সংক্রান্ত ২০১৩-১৪ সালের একটি বকেয়া বিল ছিল। যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। বিলটিতে ক্রুটি ছিল। একটি কাগজ জাল ছিল। ওটা ঠিকাদার আমাদের দিয়েছে। হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ওটা ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা