সুনামগঞ্জের ছাতকে টিকটক ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত আরও শতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাতকের সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় ভাসখলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ১৭টি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম ছাতক উপজেলার মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে। এছাড়া সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাতকের সুরমা নদীর ওপর নির্মিত সুরমা ব্রিজে দুই তরুণী ঘুরতে যান। এ সময় দুই তরুণী ব্রিজের ওপর টিকটক ভিডিও ধারণ করতে গেলে ভাসখলা গ্রামের কয়েকজন তাতে বাধা দেন। এর মধ্যে মুক্তিরগাঁও গ্রামের কয়েকজন তরুণও সেখানে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে দুই গ্রামের তরুণরা বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়ান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সুরমা ব্রিজের গোলচত্বর এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় দুই পক্ষের শতাধিক লোক আহত হন।
এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
ছাতক সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রিসে ২ ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ২৯, আহত ৮৫
চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩