প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোনো ধরনের যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটা সর্বদাই জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
মঙ্গলবার সফররত ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘এমনকি মার্কিন সরকারও আমেরিকান জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে।’
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা আবারও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সশস্ত্র বাহিনী ও ভারতের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন দিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচলের সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যার কারণে এটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বিশেষ শিশুদের জন্য সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে চমৎকার বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দারিদ্র্যের অবসান এবং এ অঞ্চলের জনগণের অবস্থা দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা।
ভারতীয় সেনাপ্রধান দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন। আগামীকাল কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে যাবেন বলে জানান তিনি।
মনোজ পান্ডে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে তিনি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ‘এই জাদুঘরটি ত্যাগের প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছে এবং এটি নতুন প্রজন্মকে তাদের দেশকে ভালবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।’
জেনারেল পান্ডে বলেন, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়মিত শীর্ষ পর্যায়ের সফর তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
ভারতে বিজয় দিবস উদযাপনের কথা উল্লেখ করে জেনারেল পান্ডে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পরিচালিত একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান ‘প্রয়াস’-এরও প্রশংসা করেন। যা বহুমাত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সার্বিক শিক্ষাগত উন্নয়নে সেবা প্রদান করে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার