জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তা চায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সুইডেনের স্টকহোমে আয়োজিত স্টকহোম+৫০ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সভায় দেয়া বক্তব্যে এ বিষয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সভার পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে মোমনে বলেন, সকলের জন্য একটি স্থিতিশীল, সুস্থ ও উন্নত বিশ্ব গড়ার ক্ষেত্রে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবস্থান সম্পর্কে নতুন করে ভাবার সুযোগ দিয়েছে স্টকহোম+৫০।
তিনি ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ এবং ‘প্লান্টারি ইমার্জেন্সি’-পরিকল্পনাসহ বিশ্বকে বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জাতিসংঘের আহ্বানে ও কেনিয়া সরকারের সহায়তায় সুইডেন এই স্টকহোম+৫০ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির পরামর্শ চায় ঢাকা
১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত মানব পরিবেশ সংক্রান্ত জাতিসংঘের সম্মেলনকে স্মরণ করে এবং বিশ্বব্যাপী পরিবেশ কর্মের ৫০ বছর উদযাপন করতে ‘স্টকহোম+৫০: এ হেলদি প্লানেট ফর দ্য প্রোসপারিটি অব অল-আওয়ার রেসপন্সিবিলিটি, আওয়ার অপরচুনিটি’- থিমের অধীনে এই উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রায় ১৫০ জন সদস্য, জাতিসংঘের বিশেষায়িত বিভিন্ন এজেন্সি, আইজিও এবং আইএফআই এর সদস্যরা সভায় অংশ নেন।
স্টকহোম+৫০ সভার পাশাপাশি মোমেন ভবিষ্যত প্রজন্মকে আরও ভালোভাবে বুঝতে, তাদের জন্য ভাবতে ও করণীয় পদক্ষেপ অন্বেষণ সংক্রান্ত একটি আন্তঃপ্রজন্মীয় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়াও তিনি ইউনাইটেড ন্যাশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনডিপি) প্রশাসক এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের (জিসিএফ) নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠকে ইউএনডিপির প্রশাসক আচিম স্টেইনার প্যারিস চুক্তিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি এবং বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
এসময় মোমেন আকস্মিক বন্যার জন্য আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বন্যায় সুরক্ষার উদ্দেশ্যে বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো, ম্যানগ্রোভ রোপণ করে কার্বন সিঙ্ক তৈরি করার জন্য ইউএনডিপির সহায়তা চেয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং স্টকহোম+৫০-এর বিভিন্ন সংলাপ সেশন এবং গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা ‘লজ্জাজনক’: মোমেন
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের