টোকিওতে জাপানের বিচার, পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দেশটির জাতীয় পরিকল্পনা সংস্থার সাথে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ এমওসি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব রওনক জাহান এবং জাপানের বিচারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সির কমিশনার সোকো সাসাকি নিজ নিজ দেশের পক্ষে এমওসিতে সই করেন।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, জাপানের পলিসি প্লানিং ডিভিশনের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফায়ারস দপ্তরের পরিচালক ইয়াসুয়াকি ইমাই, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর এবং দুদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দক্ষ কর্মী প্রেরণকারী নবম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাপানের সাথে এমওসি স্বাক্ষর করল।
এ বিষয়ে সচিব রওনক জাহান বলেন, এমওসি স্বাক্ষরের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে জাপানে দক্ষ কর্মী প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে যা দুদেশের জন্যই লাভজনক হবে।
দুই ক্যাটাগরিতে আগামী পাঁচ বছর সেবাকারী, ভবন পরিষ্কার, যন্ত্রাংশ শিল্প, ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, নির্মাণ, জাহাজ শিল্প, গাড়ি তৈরি ও কৃষিসহ ১৪টি খাতে বিশেষভাবে দক্ষ এবং জাপানিজ ভাষায় পারদর্শী কর্মীদের নিয়োগ দেবে জাপান।
প্রথম ক্যাটাগরিতে জাপানিজ ভাষার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকলে পরিবার ছাড়া জাপানে পাঁচ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে যাদের জাপানিজ ভাষা ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা প্রথম ক্যাটাগরির কর্মী থেকে বেশি তারা পরিবারসহ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এ বিষয়ে রওনক জাহান জানান, জাপানের চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ সরকার দক্ষ কর্মী তৈরিতে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে ২৬টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে জাপানিজ ভাষার চার মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জাপানিজ ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
উভয় পক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।