চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামালউদ্দিন অপহরণ ও হত্যার মামলা আসামি ফটিকছড়ি কাশেম চেয়ারম্যানকে জামিন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
হত্যার পর ২০ বছর ধরে বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় সম্প্রতি দেশে ফিরে আজ সোমবার (৩ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক নারগিস আক্তার তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যার অন্যতম আসামি ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গত ২২ নভেম্বর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে কাসেম আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতেই জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এই মামলায় মোট সাক্ষী ৮৪ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের চকবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁওয়ের বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন শিল্পপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের দুই বছর পর অপহরণকারী চক্রের সদস্য আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম গ্রেফতার হয়। একই সময়ে গ্রেপ্তার হয় চট্টগ্রামের এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার মাহবুব ওরফে কালা মাহবুব।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতেই ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে র্যাব। সিঙ্গাপুরে ডিএনএ পরীক্ষার পর কঙ্কালটি জামাল উদ্দিনের বলে নিশ্চিত হয় পরিবার। এরপর অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করে শুরু হয় তদন্ত।
মামলার অন্যতম আসামি আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জামাল উদ্দিনকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও হত্যার পর লাশ গুমের ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়।