জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিকরা।
বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান, ট্যাঙ্ক লরি ও প্রাইম মুভার্স মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী বৃহস্পতিবার সংগঠনের জরুরি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকার গত ২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোল ‘অযৌক্তিক’ ভাবে ২৫৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ শতাংশ করে এবং তারপর জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দেয়।
তারা জানান, গত দুই বছরে করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরিবহন মালিকরা যখন করোনার লকডাউনের কারণে সৃষ্ট তাদের বিশাল ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, তখন সেতুর টোল ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজেল, কেরোসিনের দাম বেড়ে লিটার প্রতি ৮০ টাকা
ইউএনবির রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তাদের পরিসেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী এ সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আর্ন্তজাতিকভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দাম পুণনির্ধারণের দাবি জানান তারা।
সরকার খুচরা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে। বুধবার বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,নতুন মূল্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার পর থেকে ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটার ৬৫ টাকার পরিবর্তে ৮০ টাকায় বিক্রি হবে। তবে, অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে সারা দেশের সাথে রাজশাহীর বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধের ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) তাদের আমদানি করা দামের চেয়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১৩ দশমিক ০১ টাকায় ও ফার্নেস অয়েল ৬ দশমিক ২১ টাকায় বিক্রি করায় প্রতিদিন সরকারের ২০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
তাই, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়ানো হয়েছে।