টিকা ইস্যু নিয়ে চীনের সাথে কোনো জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
রবিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা একমত হয়েছি যে বাংলাদেশ চীন থেকে টিকার ডোজ কিনতে চায় এবং তারা সরবরাহ করতে চায়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকার ডোজগুলো চীনের সংস্থা থেকে সংগ্রহ করা হবে এবং এর মধ্যে চীনের সরকার সুবিধার্থীর ভূমিকা পালন করবে। বেসরকারি সংস্থা কী করবে তা সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ছয় লাখ টিকা আসবে ১৩ জুন
তিনি বলেন, এ জাতীয় কোনও পরিবর্তন নেই বলে সেখানে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।
শনিবার, ঢাকার চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান বলেছেন, সিনোফার্ম এবং বাংলাদেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনও চুক্তি হয়নি।
তিনি বলেন, এটি চীন সরকারের সাথে না হয়ে বাংলাদেশ সরকার ও সিনোফার্মের মধ্যে বাণিজ্যিক ক্রয় সমঝোতা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
এর আগে ২৭ মে চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকার সরাসরি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অনুমোদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আগামী তিন মাসের মধ্যে- জুন, জুলাই এবং আগস্টে মোট ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি) টিকা সংগ্রহ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘১৩ জুনের মধ্যে উপহার হিসেবে ৬ লাখ টিকা দিতে প্রস্তুত চীন সরকার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
তিনি বলেন, 'আশা করছি আমাদের বাংলাদেশি ভাই ও বোনেরা ওই তারিখের আগেই প্রয়োজনীয় টিকা পেয়ে যাবে।’
এর আগে গত ১২ মে চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়।