ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে ‘নিয়মিত, অনানুষ্ঠানিক ও আন্তরিক’ আলোচনা আস্থা ও বিশ্বাসের খুব ভালো প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগ আছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে একটি যৌথ মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আজকের সফরের লক্ষ্য আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সম্পৃক্ততাকে আরও জোরদার করা। এটি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের শক্তি ও চেতনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
জয়শঙ্কর বলেন, করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তারা (বাংলাদেশ-ভারত) নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে।
২০২১ সালের মার্চে শেষবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগ করোনা-পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং আমরা ঈদের পরপরই আন্তঃসীমান্ত বাস ও ট্রেন সার্ভিস আবারও চালু করার দিকে নজর দিচ্ছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে বেশ কিছু বড় সমস্যার সমাধান করেছে।
তিনি বলেন, দুই পক্ষই আবারও অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার করেছে। কারণ আমাদের একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা তার (শেখ হাসিনার) সুবিধাজনক সময়ে ভারত সফরের অপেক্ষায় রয়েছি’।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন।
এছাড়া, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ অতিথি হিসেবে গত বছরের ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী