বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের স্মরণসভা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
২০১৯ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে হত্যা করে।
বিকাল ৪টার দিকে আবরারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে হামলা চালায়। হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচির চেয়ার ও মাইক্রোফোন ভাঙচুর, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়।
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিন উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক শিমুল খান, আবদুর রহিম, জহুরুল হক হল শাখার সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনসহ ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে ঢাবি প্রতিনিধি জানিয়েছেন।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে আবারও সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের গ্রন্থাগার সম্পাদক জাহিদ আহসান ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিনসহ প্রমুখ আহত হয়েছেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ইউএনবিকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কোনো উসকানি ছাড়াই একটি ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি’ চলাকালে আমাদের ১২ কর্মীকে আহত করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের দেখতে গেলে ছাত্রলীগ আবারও আমাদের ওপর হামলা চালায়।
ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও মৌলবাদীদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। আমরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কি না জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেয়।’