আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে তার পরিবার। তবে আবরারের মা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচ আসামিরও ফাঁসি চেয়েছেন।
বুধবার রায় ঘোষণার পর কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের বাসায় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা; যে সবসময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই।’
আবরারের মা বলেন, ‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার সেই ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারল। ওরা এত ব্যথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারল ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, তুমি এই হত্যার বিচার কর।’
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন অল্প সময়ে কার্যকর হয়।’
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া আবরারের ভাই আবরায় ফায়াজ বলেন, ‘অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘণ্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসি হবে- এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের যে ফাঁসি হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাব।’
রায় ঘোষণার আগে থেকে বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। এসেছেন অন্য আত্মীয়-স্বজনরাও। ছিলেন অনেক সংবাদকর্মীও।
প্রসঙ্গত, বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর