নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের রেবতি মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন আমির হোসেন ওরফে খোকন ও মোহর চাঁন। একইসাথে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে সফর আলীর যাবজ্জীবন বহাল এবং আসামি নুর আলম ও মনির হোসেনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ ও মন্টু চন্দ্র ঘোষ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনর রশিদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
আরও পড়ুন: মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
১৯৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর আমির হোসেন খোকন তার চারবন্ধুসহ তানিয়াকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে পরে তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ শীতলক্ষা নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আসামিরা। এই ঘটনায় নিহতের মামা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওই পাঁচ আসামি করে হত্যা মামলা করেন। বিচার শেষে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। রায়ে মোহর চান ও আমির হোসেন খোকনকে ফাঁসি এবং সফর আলী, নুরে আলম ও মনিরকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়।
এরপর ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের নথি) হাইকোর্টে আসে। আর আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। দুটির একসাথে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেয়া হয়।
সহকারী অ্যাটর্নি জাহিদ আহামদ হিরো জানান, মোহর চান ও আমির হোসেন খোকনের ফাঁসির আদেশ এবং সফর আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট বিভাগ। আর নুরে আলম ও মনিরকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রিজেন্সির কবির-ফাহিমের জামিন বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যা তলব