তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে কখনও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, তারা শীতের পাখির মতো ভোটের সময় আসে। চাঁদা তুলে মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আবার চলে যায়।
সুতরাং তারা যদি আসে তাদেরকে বলতে হবে-মেহমান এসেছেন ঘরের মধ্যে যান, ভোট দিতে পারব না।
রোববার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফাইভ স্টার মাঠে এক অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
‘নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০২৩’ আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বেশি শীত, সে কারণে আমাদের নেত্রীর নির্দেশে অন্য কাজ বাদ দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এখানে বিএনপিকে দেখা যায় নাই। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এবারে উত্তরবঙ্গ, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কম্বলও বিতরণ করে নাই। করোনার সময়ও তাদের দেখা যায় নাই। পঞ্চগড়ে নৌকাডুবি হয়েছে, বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করেছি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে শীতের পাখি। শীতকালে যেমন সাইবেরিয়া ও হিমালয় থেকে পাখি আসে। ধান খায়, বিলের মধ্যে মাছ খায়, মোটাতাজা হয়ে আবার উড়ে চলে যায়। বিএনপিকেও সারা বছর দেখা যায় না, শুধু নির্বাচন আসলে দেখা যায়। নেতারা চাঁদা কালেকশন করেন, নমিনেশন-বাণিজ্য করেন আর মোটাতাজা হন। আর কিছু সমুদ্রের ওই পারে পাঠিয়ে দেন, তিনিও মোটাতাজা হন।’
এই হচ্ছে বিএনপি। সারা বছর খবর নাই।
ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশে ৩০ লাখের বেশি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দলের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলার নির্বাচনী এলাকায় হাজার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
উপস্থিত জনতা ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন বেশি দূরে নাই। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসেছি, নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে এসেছি, শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এসেছি। ভোট যখন আসবে দয়া করে মনে রাখবেন, এই আওয়ামী লীগ ত্রাণ দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ কম্বল দিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় টিকা দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ করোনার সময় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। তাই তারা (বিএনপি) ভোট চাইতে আসলে তাদের মেহমান বলে সম্বোধন করে বিদায় করে দিবেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা। রংপুর বিভাগের সব জেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী