একই সাথে ধর্ষণের শিকার তিনটি শিশুকে (দিনাজপুরের পাবর্তীপুরের একজন, রংপুরের বড়বাড়ি এলাকার ৪ বছরের এক শিশু এবং খুলনার তেরখাদার ৯ বছরের একজনকে) পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
সাত দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিবসহ ১৫ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তিনটি ধর্ষণের ঘটনা যুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করে চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
রিটের আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, ধর্ষণের মামলায় ৯৭ শতাংশ আসামির খালাস হয়ে যায়। তার মানে ৯৭ শতাংশ কি ধর্ষণ হয়নি? এই খালাসের কারণ হলো রাষ্ট্র যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য দায়ভার ভুক্তভোগী কেন নেবে। কেননা তার আত্মমর্যাদা রয়েছে। শিশুটির লেখাপড়া ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এসব শিশুরা স্কুলে পর্যন্ত যেতে পারছে না। তাহলে সে কোথায় যাবে। এখানেই হলো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সারা পৃথিবীতে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসনের বিধান রয়েছে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি ধর্ষণের ঘটনায় ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সেটি আমরা নজির হিসেবে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল
রূপপুর বালিশকাণ্ড: চার মামলায় প্রকৌশলী আমিনুলের জামিন প্রশ্নে রুল
‘রূপুরের বড়বাড়ির শিশু মাইশাকে যৌন নিপীড়নের চেষ্টার পর হত্যা করে ডোবায় ফেলেন প্রতিবেশী’, ‘তিন বছরেও স্বাভাবিক হতে পারেনি দিনাজপুরের সেই পূজা’, ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত বুধবার এ রুল জারি করে।