নওগাঁর ধামইরহাটে গরু চোরাকারবারিদের ছুরিকাঘাতে বিজিবির বস্তাবর ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন ও বিজিবির সোর্স তারেক হোসেন গুরুতর জখম হয়েছেন। শুক্রবার ভোরাত ৩টার দিকে উপজেলার বস্তাবর সীমান্তে শাখাহাটি এলাকায় টহলরত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বিজিবির বস্তাবর ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন এবং বিজিবির সোর্স বীরগ্রাম গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে তারেক হোসেন (৩৫)।
বিজিবি জানায়, চোরাকারবারীদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় গুরুতর আহত মজিবর হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে নওগাঁর পত্নীতলা থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় স্থানান্তর করেছে বিজিবি ব্যাটালিয়ন। তাকে ঢাকায় বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়।
আরও পড়ুন: বন্য হাতির আক্রমণে বিজিবি সদস্যের মৃত্যু
বিজিবি আরও জানায়, এ সময় অপর জখম তারেক হোসেনকে প্রথমে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।
বিজিবি আরও জানায়, ঘটনাস্থল থেকে জখমী বিজিবির সদস্যর সরকারি পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.আরিফুল ইসলাম, পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফতাব উদ্দিন, ধামইহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজীসহ থানা পুলিশসহ বিজিবির ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ধামইরহাট উপজেলার বস্তাবর বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন রাতে শাখাহাটি বাজার সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। রাত ৩টার দিকে চোরাকারবারিদের একটি দল বিজিবির নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেন ও সোর্স তারেক হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ১৪ বিজিবি ব্যাটেলিয়ন গুরুতর জখম নায়েক সুবেদার মজিবর হোসেনকে শুক্রবার ভোর রাতে উদ্ধার করে প্রথমে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিজিবির হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় বিজিবি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আমরা সম্পূর্ণ ঘটনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, এখন সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।