নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড (আর আই সি এল) কারখানায় বিস্ফোরণে চার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মিলের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারখানাটি পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কারখানাটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রি-রোলিং মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কারখানাটি পরিদর্শনে আসেন। সেখানে আমি সহ বিদ্যুত বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন। আমাকে আহ্বায়ক এবং বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাকে সদস্য করার কথা তিনি বলেছেন। তবে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি লিখিত কোন নির্দেশনা পাইনি। লিখিত নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করব।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা বা অভিযোগ না দিলে দোষীদের অভিযুক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় অবস্থিত রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড (আর আই সি এল) কারখানায় লোহা গলানোর ভাট্টি (চুল্লি) বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই এক শ্রমিক নিহত ও ছয় শ্রমিক দগ্ধ হন। পরে গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।