র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। উনারা যেভাবে পরিচালনা করেন, আমরা সেভাবে দায়িত্ব পালন করব।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব মূলত হবে সাধারণ মানুষ যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সেটা দৃঢ়ভাবে করব। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমরা মানসিকভাবে তৈরি আছি।
আরও পড়ুন: আরেকটি পাসপোর্ট অফিস হচ্ছে সিলেটে: অতিরিক্ত মহাপরিচালক
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় র্যাব-৯ -এর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, র্যাবের মূল লক্ষ্যই দেশের জনগণের নিরাপত্তায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করা। এদেশে যাতে জঙ্গিরা স্থায়ী না হতে পারে, সন্ত্রাসীরা যাতে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সে লক্ষ্য নিয়েই র্যাব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য দেশের মানুষের মধ্যে দিন দিন র্যাবের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস বাড়ছে।
তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতি হচ্ছে উন্নতিও হয়েছে। জণগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন রেশন হয়, জণগণের জন্য কী করতে পারছি। যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তাদেরই উত্তরসূরি হিসেবে আমরা কী করতে পেরেছি।
বর্তমান প্রজন্মের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ছেলেরা এইচএইসসি পাস করেই বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। তারা কেন যেতে চায়। দেশে রেফারেন্স ছাড়া কাজ হয় না। চাকরি করতে গেলে হয় রেফারেন্স নয়তো অর্থ লাগে! এজন্যই কী দেশ স্বাধীন হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, দেশের জন্য সবাই মিলেই কাজ করতে হবে। দেশের জন্য এবং পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচাতে হলে মাদকের ব্যাপারে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক প্রবেশ করাচ্ছে।
তিনি বলেন, এভাবে মাদক প্রবেশ করতে থাকলে আগামী ১০ বছর পর এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা কোনো বাহিনীতে কাজ করতে পারবে না। তারা মাদকে আসক্ত থাকবে। এখন শুধু ছেলেরাই মাদকে জড়াচ্ছে এমন না। এখন উচ্চ শ্রেণি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির মেয়েরাও মাদকে আসক্ত হচ্ছে বেশি।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় হুমকির চিঠি দিয়েছে: র্যাবের মহাপরিচালক
ঘুমধুম সীমান্তে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে মিয়ানমার বিজিপি’র সঙ্গে কুশালাদি বিনিময়