নেত্রকোণার মদনে আওয়ামীলীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। বুধবার উপজেলার চাঁনগাও ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, এএসআই খোরশেদ আলম, পুলিশ সদস্য আজিজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম, রিপন, বুলবুল আহমেদ, রোকন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ, সাগরকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া বিএনপির আহত সাতজন নেতাকর্মীকে স্থানীয় বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মদন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য চানগাও ইউনিয়নের শাহপুর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও একই স্থানে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে দু-পক্ষই উত্তেজিত হয়ে পরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।’
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৩
মদন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান এখলাছ জানান, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা অর্তকিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তাদের ওপর ইট ছোঁড়া হয়। আমাদের সাত জন নেতাকর্মীকে আহত অবস্থায় মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।’
উপজেলা বিএনপির সাধারাণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন কালে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সাত নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ‘বিএনপি কর্মসূচি পালন করার খবর পেয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যেতেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইট,পাটকেল ছোঁড়ে। এতে আমি ও আমার দুই জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’