পটুয়াখালীতে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগের করা দুটি মামলায় জেলা যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিকদল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার দায়ের করা মামলা দুটির বাদী আওয়ামী লীগের দুজন কর্মী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মামলার খবরে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) রাতে রায়হান হোসেন নামে একজন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওইদিন শনিবার পৌরসভাস্থ মুসলিমপাড়া মোড়ে সারাদেশের মতো আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির লোকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এছাড়া মামলায় জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মনির মুন্সিকে প্রধান আসামিসহ ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
অপরদিকে, একই থানায় শনিবার (২১ মে) দায়ের করা আরেকটি মামলার বাদী জেলা যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, মুসলিমপাড়াস্থ মোড়ে যুবলীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালে যুবদল হামলা চালিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
তিনি এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনকে প্রধান করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দুজন বাদীই একই অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা থাকায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
ওসি বলেন, আসামিরা পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা থানায় মামলা করা হবে।
থানা মামলা না নিলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান এই নেতা।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সকালে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ চলাকালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
উভয়েই মুখোমখি সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ উভয় দলের নেতাকর্মীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি উজ্জ্বল তালুকদারসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার