পরকীয়ার জেরে ধরে মাগুরা সদরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার উপজেলার মঘি ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলেনা খাতুন উপজেলার সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও বিপ্লব মোল্যর স্ত্রী।
অভিযুক্ত স্বামী বিপ্লব মোল্য একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জোর মোল্যার ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেন।
জানা গেছে, ২০ বছর আগে নওয়াপাড়া গ্রামের গঞ্জোর মোল্যার ছেলে বিপ্লব মোল্য সঙ্গে সত্যপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে হেলেনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল এবং এই দম্পতির ৮ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিষপানে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা
নিহত হেলেনার পরিবারের অভিযোগ, গত এক বছর আগে বিপ্লবের সঙ্গে তার কর্মস্থলে এক নারীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে ও ওই নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন বিপ্লব। এদিকে সংসারে কোনো খরচ পাঠান না বলে স্ত্রী হেলেনার সঙ্গে ঝগড়া বিবাধ লেগেই থাকতো। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল ঈদের কাপড় কেনাকাটা নিয়ে হেলেনাকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে মঘি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিলটন মাহমুদ ঈদের আগের দিন গ্রাম্য সালিশ বৈঠক করে মীমাংসা করে দিয়েছেন। বুধবার হেলেনাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা, ঘটনার সত্য প্রকাশিত না হয় সেজন্য তার ছেলেকেও লুকিয়ে রাখা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা পিলটন জানান, মেয়েটি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। তবে পুলিশ লাশটিক ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা!
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন নিহতের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।