বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সকলের ব্যক্তি পরিচয়ের অধিকার রয়েছে। পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা এখানেই। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এবং মৌলিক মানবাধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশন বিষয়টি অনুধাবন করেছেন, যা যুগোপযোগী, ভিন্নধর্মী এবং গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।
নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে 'ভোটার তালিকায় পরিচয়হীনদের পিতা-মাতার নাম লিপিবদ্ধকরণে জটিলতা নিরসন' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বকতব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছে যা দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এই ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
আরও পড়ুন: পেশাগত উন্নয়ন ও মর্যাদার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে ডিআরইউ: স্পিকার
স্পিকার বলেন, কোভিডকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজ ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুঃস্থ মানুষের কাছে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু তথ্য উপস্থাপন ও সংরক্ষণের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজভিত্তিক। প্রতিবন্ধী, হিজড়া, চা-শ্রমিকসহ সকল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে এই ডাটাবেজ আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। সকল কাজেই এখন জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। পিতা-মাতার পরিচয় লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জটিলতা নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য: স্পিকার