পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘পরিবেশ ও বন রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তারা এ বিষয়ে অবহিত আছেন। বন সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় ডিসিদের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে অবহিত করে সহযোগিতা চেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন যে টিলা কাটা, বন উজাড় করা, অবৈধ ইটভাটা ও মাটি কাটাসহ পরিবেশের ক্ষতিকর কার্যক্রম বন্ধে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আইন অনুসারে তারা যাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে বিষয়ে তাদের বলে দেয়া হয়েছে। ডিসিরাও সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তামাক চাষ বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী জানান, ডিসিরা কথা দিয়েছেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারি দায়িত্ব তারা পুরোপুরি পালন করবেন।
তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের আজ হচ্ছে দ্বিতীয় দিন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডিসিদের কাছ থেকে কোনো প্রস্তবা এসেছে কি না, জানতে চাইলে শাহাব উদ্দিন বলেন, তারা অনেক কিছু জানতে চেয়েছেন। প্রশ্ন পূর্বে দেয়া হয়েছে, পরিবেশ সচিব সেগুলোর জবাব দিয়েছেন।
পরিবেশবান্ধব ইটভাটা নিয়ে ডিসিদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি স্থাপনায় শতভাগ পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমরা পরিবেশবান্ধব ইট যারা বানাবেন, তাদের সহযোগিতা করব। তারা যাতে সহজে ব্যাংক ঋণ পান, সেই ব্যবস্থা করা হবে।’
এ সংক্রান্ত বাজেটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যত বেশি মানুষকে পরিবেশবান্ধব ইট দিতে পারব, তত বেশি দূষণকারী ইটভাটা বন্ধ করতে পারবো। কারণ ইটের চাহিদা আছে, যা মেটাতে হবে। পরিবেশবান্ধব ব্লক ইটে যদি আমরা চাহিদা মেটাতে সক্ষম হই, তাহলে পুরানো অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটি মুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর
‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী