পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলোর তথ্য প্রদানের পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ জানানোর জন্য জাতীয় তথ্য ও সেবা হেল্পলাইন নম্বর ‘৩৩৩-৪' এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্মার্ট মন্ত্রণালয় বিনির্মাণসংক্রান্ত সভায় এই প্রযুক্তিসেবার উদ্বোধন করেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয়ে পরিণত করা তথা এর সার্বিক ডিজিটাল রূপান্তরে সহযোগিতা ও সমন্বয়কে সহজতর করার জন্য এটুআই, আইসিটি বিভাগ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য ম্যাপ তৈরি করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং এটুআইয়ের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এই সমঝোতা স্মারক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে নাগরিকদের অভিযোগ জানানো সুবিধা স্থাপনের পাশাপাশি সরকারি সেবা উন্নত করা, অভ্যন্তরীণ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল উদ্যোগের পরিসরকে বিস্তৃত করবে।
তিনি আরও বলেন, এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পরিদর্শন কেন্দ্রে ই-টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও এর অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য এডিপি ট্র্যাকারের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি সংরক্ষণ এবং পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একীভূত করা হবে।
পরিবেশগত মান এবং প্রভাব মূল্যায়নে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের জন্য ডিজিটাল সমাধান করা হবে।
অনলাইন পরিবেশগত ছাড়পত্র সনদ প্রদান এবং প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং ব্যবস্থা সহজ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইইউ’র বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের আরও প্রবেশাধিকার চান পরিবেশমন্ত্রী
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা হতে যাচ্ছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় হবে প্রথম স্মার্ট মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এখন থেকে নাগরিকরা ৩৩৩ নম্বরে কল করে পরে ৪ চেপে পরিবেশ ছাড়পত্র, গবেষণাগার, বন সংরক্ষণ ইত্যাদি পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তরসমূহের তথ্যসেবা ও কর্মকর্তাদের তথ্য পাবেন।
পাশাপাশি পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট এবং অবৈধভাবে বন/পাহাড় ধ্বংস ও গাছ কাটা ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
পরে অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ড্যাশবোর্ডে পাঠানো হবে। এরপর কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সুবিধাভোগীরা এসএমএসের মাধ্যমে আপডেট পাবেন অথবা ৩৩৩ তে কল করেও আপডেট জানতে পারবেন। সরকারি কাজে জনগণকে ডিজিটালি সম্পৃক্ত করে আগামী ৫ বছরে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাইলফলক স্থাপিত হবে।
আরও পড়ুন: নর্ডীয় দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় সহযোগিতা জোরদার করবে: পরিবেশমন্ত্রী