বাজারে ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও গত বছরের তুলনায় এবারের রমজানের শুরুতে দেশি ও আমদানি করা ফলমূলের দাম বেড়েছে।
ফল আমদানিকারকরা বেশি জাহাজ ভাড়া এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেশি পরিবহন ব্যয়কে ফলমূলের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন।
রবিবার রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ প্রতিবেদক দেখেছেন, আমদানি করা আপেল মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, নাশপাতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, ডালিম ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মাল্টা ১৬০ থেকে ২১০ টাকা, কমলা ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, আঙ্গুর ২০০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রমজান জুড়ে মাঠে থাকবে বাজার মনিটরিং টিম
খেজুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে এবং আমদানি করা এই ফল গুণমানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পুরান ঢাকার খুচরা বাজারে আজোয়া খেজুর প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, দাব্বাস খেজুর ২৮০ টাকা, ক্কালমি খেজুর ৩০০ টাকা, ফরিদা খেজুর ২৮০ টাকা এবং বরই খেজুর ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও লিবিয়ার উন্নত মানের খেজুর ও মারিয়াম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ১২৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস
এছাড়া দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারা (থাই) প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কলা ডজন প্রতি ৬০ থেকে ১২০ টাকা, তরমুজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, আনারস প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, আম (সবুজ) কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ এবং ড্রাগন ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, এই রমজানে বিদেশি ফলের সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি বলেন, বেশি জাহাজ ভাড়া ও বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়েছে।
একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পরিবহন খরচ বেড়েছে যা ফলের দামকে প্রভাবিত করেছে বলেও জানান তিনি।