মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাক্ষদর্শী হিসেবে বলব যে, পাকিস্তানিদের কাজ ছিল এই দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা। মুক্তিযুদ্ধকালীন এই দেশের সাধারণ মানুষের ওপর যে বর্বরতা-নিষ্ঠুরতা পাকিস্তানি আর্মিরা চালিয়েছিল তা ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: প্রসঙ্গ জেনোসাইড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জেনোসাইডের কথা বললে, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী নির্মমভাবে গণহত্যার ছাপ রেখেছে। অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে মাটির সঙ্গে মেশানোর চেষ্টা করেছে। এই গণহত্যায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক কাউকে বাদ রাখেনি। সবচাইতে বেশি নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে। সারাদেশে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে সঠিক গবেষণার অভাবে এই হত্যাকাণ্ডের চিত্রগুলো পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবি প্রশাসনের পদক্ষেপ
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও সত্য ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রকাশ করা হচ্ছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম একটি সত্য ইতিহাস জেনে বড় হচ্ছে।
উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যারা বিরোধী ছিল, তাদের পরিবারের লোকেরাই আজকে দেশের উন্নয়নের বিরোধীতা করছে।
বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে জেনোসাইড গবেষক হাসান মোরশেদ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান। এছাড়াও সেমিনারের আহ্বায়ক ও সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার সরকার।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের ‘মুজিব শতবর্ষ ক্রীড়া সপ্তাহ’র উদ্বোধন