পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত
এছাড়া বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মালির কারাগার থেকে মুক্ত আরও আটজন বাংলাদেশি নাগরিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে দেশে ফিরবেন। এই আট প্রবাসী কর্মী বৈধভাবে ওমানের একটি ফিশিং বোটে কর্মরত ছিলেন।
২০১৯ সালের মে মাসে ওমান সংলগ্ন আরব সাগরে মাছ ধরার সময় তাদের ফিশিং বোট স্রোতের টানে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়লে পাকিস্তানি কোস্ট গার্ড তাদের আটক করে। পরে দ্রুততম সময়ে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বিষয়টি সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন এবং তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় বিমান ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক ভ্রমণ ব্যয়ের সরকারি অনুমোদন প্রদান করেন।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানের ১৯৭১ সালের নৃশংসতা অমার্জনীয়: প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি
করাচীস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন, সিন্ধ প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মালির কারা কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই আট বাংলাদেশি জেলের দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর গত ২৫ নভেম্বর পুনরায় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিককে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ফোন
বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।